নিউজ ডেস্ক,
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা বড় বড় ষাঁড় প্রস্তুত করে, আর বাহারি সব নাম দেয়। তেমনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের কাঁঠাতলী এলাকায় দেখা মিলেছে ৩৫মণ ওজনের একটি ষাড় গরু ‘টাইগার বাবু’। ৩৫ মণের টাইগার বাবু দেখতে হাটে ও বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুকরা।
এদিকে টাইগার বাবুকে জেলার সবচেয়ে বড় পশু হিসেবে দাবি করছেন স্থানীয়রা। বিশালাকৃতির এ ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পরম যত্নে টাইগার বাবুকে বড় করেছেন খামারি বিল্লাল হোসেন ।
বিল্লাল হোসেন কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের কাঁঠালতলী এলাকার বাসিন্দা। নাম আর ওজনের সমন্বয়ে টাইগার বাবু হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের অন্যতম স্মার্ট ও আকর্ষণীয় গরু।
বিল্লালের খামারে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের টাইগারকে দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন দেখতে এসেছে।
খামারি বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার অনেক প্রিয় গরু এই টাইগার বাবু। প্রায় ৪ বছর বয়সী টাইগারকে অত্যন্ত যত্নে আমরা বড় করেছি। টাইগার খুব শান্ত স্বভাবের। চার দাঁতের এ ষাঁড়ের খাবার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দিনে এক হাজার ৬০০ টাকা খরচ হচ্ছে। প্রিয় খাবার সবুজ ঘাস। সরকার অনুমোদিত ওষুধ ও খাদ্যের বাইরে কোনো খাবার তাকে খাওয়ানো হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করেছি টাইগার বাবুকে।
বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, মোটাতাজাকরণ কোনো ট্যাবলেট কিংবা ইনজেকশনও দেওয়া হয়নি টাইগারকে। এজন্য তার চামড়া ও মাংস সতেজ এবং টান টান।
বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহীন মিয়া বলেন, টাইগার খুব শান্ত স্বভাবের। লাফালাফি বা ছুটাছুটি করে না এ ষাঁড়। টাইগার আমার কথা বুঝতে পারে। দাঁড়াতে বললে দাঁড়ায়, হাঁটতে বললে হাঁটে। খাবার সামনে দিলেও যতক্ষণ আমি না বলবো, খাওয়া শুরু করে না। আমাদেরকে না দেখলে টাইগার ডাকাডাকি শুরু করে।
স্থানীয় কৃষক সাইফুল মিয়া বলেন, বাবারে, আমার জীবনে এত বড় গরু দেখেনি। গরুটা ম্যালা বড় হইছে। এখন ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে আমরাও খুশি হবো। আশা করছি ভালো দামেই বিক্রি করতে পারবে।
রাকিব হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ইতোপূর্বেও রাজা, বাদশাহ, সুলতান, ডন, ইউটিউবার, ডিপজল, কালাবাবু সাড়া জাগিয়েছিল। কিন্তু টাইগারবাবুর মতো এতো বড় ষাঁড় আর দেখিনি। প্রায় ৩৫ মণ ওজনের এ ষাঁড়টি দেখতেও খুবই স্মার্ট। এর পিছনে খামারীর অনেক টাকা খরচ হয়েছে। উপযুক্ত দামে টাইগার বাবুকে বিক্রি করতে পারবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।