অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
ঢাকা ১৩ আসনের তিনটি থানার মধ্যে রাজনীতির দিক দিয়ে মোহাম্মদপুর থানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা। আমি মোহাম্মদপুর এলাকার একজন ভোটার হিসাবে বলতে চাই। মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ কমিটি হোক যোগ্য এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে। এরই মধ্যে মোহাম্মদপুর থানা কমিটি ঘোষণা হবে মর্মে যে খবর পাওয়া যায়। তার মধ্যে এও শোনা যায় যে থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আমার কথা হলো এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা কমিটির বড় পদ গুলো যদি টাকায় বেচাকেনা হয়। তাহলে এটা খুবই দুঃখজনক।
আজকে দল ক্ষমতায় আছে আগামীতে দলের দুঃসময় আসতে পারে। দলের দুঃসময়ে একমাত্র ত্যাগী নেতাকর্মী সৎ এবং যোগ্য নেতাকর্মীরা হাল ধরে। যা যুগে যুগে প্রমাণিত।
আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মোহাম্মদপুর থানা কমিটি যারা দেখভাল করছেন। তাদের কাছে আমার ভাষ্য হচ্ছে। আপনারা এখানে থানা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ সমুহে ত্যাগী এবং যোগ্য নেতাদের কে পদপদবী গুলো দিন। যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই ভালো হবে।
অর্থ দিয়ে পদ কেনা নেতারা কিন্তু দলের দুঃসময়ে পাশে থাকে না।
১৯৭৫ এর পনেরো আগষ্টের পর থেকে এবং বিশেষ করে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা সিটির মধ্যে মোহাম্মদপুর থানার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল অন্যতম। ১৯৯৪ সনে মেয়র নির্বাচনে মোহাম্মদ হানিফ কে পাশ করানো এবং ১৯৯৬সনের জাতীয় নির্বাচনে সাবেক মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।